MAKE MONEY

এফ আর টাওয়ারে আগুনে যারা নিহত

সুজন কৈরী : বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ২৫ জনের মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তাদের সবার নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। একজন ছাড়া বাকিদের লাশ স্বজন বা পরিচিতদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতদের নাম পরিচয়- ১. সৈয়দা আমিনা ইয়াসমিন (৪৮)। তিনি মৌলভীবাজারের কোমলগঞ্জের রামপাশা গ্রামের সৈয়দ মহিউদ্দিন আহমেদের মেয়ে। রাজধানীর কাফরুলের ২০৬ নম্বর বাড়িতে থাকতেন। তার লাশ ছিল অ্যাপোলো হাসপাতালে।

২. মো. মনির হোসেন সর্দার (৫২)। তারা বাবার নাম মৃত মোতাহার হোসেন সর্দার। গ্রামের বরিশালের বিমানবন্দর থানা এলাকার উত্তর কড়াপুরে (সর্দারবাড়ি)। রাজধানীর মিরপুরের পূর্ব মনিপুরের মোল্লার রোডের ৬৮৫/২নম্বর বাড়িতে থাকতেন। তার লাশ ছিল ইউনাইটেড হাসপাতালে।

৩. মো. মাকসুদুর রহমান (৩২)। তারা বাবা মৃত মিজানুর রহমান। পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার আলমগঞ্জের ১১নম্বর বাড়িতে থাকতেন। তার লাশ ছিল ইউনাইটেড হাসপাতালে।

৪. মো. আবদুল্লাদ আল মামুন (৪০)। বাবা-মৃত আলহাজ আবুল কাশেম। গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের কোতোয়ালির বালুয়াডাঙ্গায়। রাজধানীর মিরপুরের কল্যাণপুরের ১নম্বর রোডের ১৫/৬/২ নম্বর বাড়িতে থাকেতন। লাশ ছিল ইউনাইটেড হাসপাতালে।

৫. মো. মোস্তাফিজুর রহমান (৩৬)। বাবা- মৃত আব্দুর রশিদ মুন্সি। গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জের চতরায়। রাজধানীর মিরপুর-২ নম্বর এলাকার ২/এ/২/১৬নম্বর বাড়িতে থাকতেন। সিএমএইচ হাসপাতালে লাশ ছিল।

৬. মো. মিজানুর রহমান। গ্রামের বাড়ি খুলনার তেরখাদা থানা এলাকায়। তার বর্তমান ঠিকানা হচ্ছে হেরিটেজ এয়ার এক্সপ্রেস, এফ আর টাওয়ার (১০ তলা), রোড-১৭, বনানী, ঢাকা। লাশ ছিল সিএমএইচ হাসপাতালে।

৭. ফ্লোরিডা খানম পলি (৪৫)। তার স্বামী ইউসুফ ওসমান। বাবা- আফজাল হোসেন, বাসা নম্বর-২, রোড নং-৪, রূপনগর হাউজিং, থানা-রূপনগর, ঢাকা। সিএমএইচ হাসপাতালে লাশ ছিল।

৮. আতাউর রহমান (৬২)। বাবা- মৃত হাবিবুর রহমান। তার বাসা মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের সি ব্লকের ১৭/২নম্বরে। লাশ ছিল সিএমএইচ হাসপাতালে।

৯. মো. রেজাউল করিম (৪০)। তার বাবার নাম নাজমুল হাসান। মা তহুরা বেগম। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের তমলবের দক্ষিণ নাগদা এলাকায়। রাজধানীর বনানীর ২৩নম্বর রোডের ১৬নম্বর বাড়ির বি/২ ফ্ল্যাটে থাকতেন। কুর্মিটোলা হাসপাতালে লাশ ছিল।

১০. আহাম্মেদ জাফর (৫৯)। বাবা মৃত হাজি হেলাল উদ্দিন। মা আলভি বেগম। নারায়ণগঞ্জের সোনাগাঁওয়ের নবীনগরে বাড়ি। লাশ ছিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে।

১১. জেবুন্নেছা (৩০)। তার বাবা আবদুল ওয়াহাব ও মা কামরুন্নাহার। গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের লক্ষী নারায়ণপুরে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পশ্চিম রাজা বাজারের ৬৬/৩ নম্বর বাড়িতে থাকতেন। তার লাশ ছিল কুর্মিটোলা হাসপাতাল।

১২. মো. সালাউদ্দিন মিঠু (২৫)। তারা বাবা মো. সামসুদ্দিন ও মা মাকছুদা বেগম। রমনার মগবাজারের মধুবাগের ৩৪৯নম্বর বাড়িতে থাকতেন। বিনা ময়নাতদন্তে নিহতের বাবাকে কুর্মিটোলা থেকে লাশ হস্তান্তর করা হয়।

১৩. নাহিদুল ইসলাম তুষার (৩৫)। তার বাবা মো. ইছাহাক আলী ও মা নুরুন্নাহার। গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ভানুয়াবহে। চাচা মো. আবুল হোসেনের কাছে বিনা ময়নাতদন্তে কুর্মিটোলা হাসপাতালে থেকে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

১৪. তানজিলা মৌলি (২৫)। তার স্বামী রায়হানুল ইসলাম। তার বাবা মো. মাসুদার রহমান। গ্রামের বাড়ি বগুড়ার আদমদিঘীর সান্তাহারের বলিপুরে। রাজধানীর দক্ষিণ কাফরুলের মিতালী হাউজিংয়ের ই/৩নম্বরস্থ বাড়িতে থাকতেন। কুর্মিটোলা থেকে তার লাশ হস্তান্তর করা হয়।

১৫. মো. পারভেজ সাজ্জাদ (৪৬)। তার বাবা মৃত নজরুল ইসলাম মৃধা ও মা নাছিমা বেগম। গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর বালুগ্রামে। কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে লাশ হস্তান্তর করা হয়।

১৬. হীরস (৩৫)। শ্রলঙ্কার বিগনা বাজারের বাসিন্দা। রাজধানীর বনানীর এ ব্লকের ১৮নম্বর রোডের ৭৬ নম্বর বাড়িতে থাকতেন। ঢামেক হাসপাতাল থেকে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

১৭. মো. ইফতিয়ার হোসেন মিঠু (৩৭)। তার বাবার নাম ইসহাক আলী। গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বানিয়াপাড়ায়। বনানীর এফ আর টাওয়ারের ফ্লোগাল অফিসের সিনিয়র হিসাব রক্ষক ছিলেন। লাশ ছিল ঢামেক হাসপাতালে।

১৮. শেখ জারিন তাসনিম বৃষ্টি (২৫)। তার বাবার নাম শেখ মোজাহিদুল ইসলাম ও মা নীনা ইসলাম। গ্রামের বাড়ি যশোরের মেনরোডের ৭৪ নম্বরস্থ বেজপাড়ায়। রাজধানীর খিলক্ষেতের বটতলায় থাকতেন। লাশ ছিল ঢামেক হাসপাতালে।

১৯. মো. ফজলে রাব্বি (৩০)। তার বাবা মো. জহিরুল হক ও মা শাহানাজ বেগম। গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার উত্তর ভূঁইগড়ে। লাশ ছিল ঢামেক হাসপাতালে।

২০. আতিকুর রহমান (৪২)। তার বাবা মৃত আবদুল কাদির মির্জা ও মা হাজেরা বেগম। গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের শৈলপাড়ার পালংয়ের পূর্ব সারেন গাঁয়। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্টের মানিকদীর আমতলী এলাকায় থাকতেন। লাশ ছিল ঢামেক হাসপাতালে।

২১. আনজির সিদ্দিক আবির (২৭)। তার বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক। গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটের পাটগ্রামের কলেজ রোডে। রাজধানীল মিপুরের পাইকপাড়া এলাকায় থাকতেন। তার লাশ ছিল ঢামেক হাসপাতালে।

২২. আব্দুল্লাহ আল ফরুক (৬২)। তার বাবার নাম মকবুল আহমেদ। ডেমরার পূর্ব বগাইব এলাকায় বাসা। লাশ ছিল ঢামেক হাসপাতালে।

২৩. রুমকি আক্তার (৩০)। তার স্বামী মাকসুদুর রহমান। গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকার বিল্লালাড়ে। লাশ ছিল ঢামেক হাসপাতালে।

২৪. মো. মঞ্জুর হাসান (৪৯)। তার বাবা মৃত মনসুর রহমান ও মা মিসেস রোকেয়া বেগম। গ্রামের বাড়ি নওগাঁর বোয়ালিয়ায়। রাজধানীর কাফরুলের ইব্রাহীমপুরের ছাপড়া মসজিদ এলাকার ২৬২/২ নম্বর বাড়িতে থাকতেন। লাশ ছিল ঢামেক হাসপাতালে।

২৫. মো. আমির হোসেন রাব্বি (২৯)। তার বাবার নাম আইয়ুব আলী ও মাতা রত্না খাতুন। গ্রামের বাড়ি পাবনার আতাইকুলার গাঙ্গাহাটিতে (চরপাড়া)। রাজধানীর খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ-২ এর এ ব্লকের ৯নম্বর রোডের ২৩ নম্বর বাসায় থাকতেন। তার লাশ ছিল ঢামেক হাসপাতাল।

No comments

Powered by Blogger.