বনানীতে আগুন, শ্রীলঙ্কার নাগরিকসহ ১৯ জন নিহত
রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারের নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ঘটনাস্থলে ১৩ জনের লাশ পাওয়া যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভবন থেকে একের পর এক লাশ বের করে আনছেন। এর আগে দুপুর পৌনে ১টার দিকে ২২ তলা ভবনটিতে আগুন লাগে। ভবন থেকে উদ্ধার হওয়া অন্তত ৩০ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ইউনাইটেড ও অ্যাপোলোসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার খুরশিদ আনোয়ার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ১৩টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনজন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দুজন ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একজন মারা গেছেন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজনের নাম জানা গেছে। এঁরা হলেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার বালুগ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম মৃধার ছেলে পারভেজ সাজ্জাদ (৪৭), আমিনা ইয়াসমিন (৪০), দিনাজপুরের সদর উপজেলার বালুয়াকান্দি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মামুন (৩৬), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সান্ধ্যকালীন এমবিএ কোর্সের আবদুল্লাহ আল ফারুক (৩২), মাকসুদুর (৬৬), মনির (৫০) এবং শ্রীলঙ্কার নাগরিক ও বনানীর স্কেন ওয়েল লজিস্টিকসের ব্যবস্থাপক নিরস ভিগ্নে রাজা (৪০)। এর আগে বিকেলে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরমান আলী সাতজন নিহত হওয়ার কথা জানান। তখন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থাপিত বনানী থানার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, নিহতদের মধ্যে মামুন, মাকসুদুর ও মনির ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা গেছেন। আমিনা মারা গেছেন অ্যাপোলো হাসপাতালে। পারভেজ সাজ্জাদ বনানী ক্লিনিকে, নিরস কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ও আবদুল্লাহ আল ফারুক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।
More news
No comments